শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

পাহাড়ি মেঘের গল্প

একটা পাহাড়ের গল্প বলি শোন-
পাহাড়টার সখ্যতা ছিলো মেঘের সাথে,
মেঘরাণী নানা বর্ণে সেজেগুজে এসে
বৈকালিক আড্ডা দিতো পাহাড়চূড়ায় বসে।
দূরের কোন অভিযাত্রীর ডিএসএলারে
নিজেকে তুলে ধরতো অপ্সরীর মতো-
তাই দেখে পাহাড়টার ভারি হিংসে হতো,
দিনে দিনে প্রেম জমে জমে সে কঠিন হতাহতো।

প্রায়ই দেখতো মেঘেররাণী বাতাসের সাথে
নেচে যাচ্ছে প্রণয় নৃত্য। বাতাসের ফিসফাসে
জলকেলির ঘ্রান পেতেই পাহাড়টার কাঠিন্য
তরল হতে চাইতো। যেন এক জলজ বিদ্রোহী।
মেঘের পিঠে পাহাড়, পাহাড়ের বুকে মেঘ,
মাঝখানে বাংলা ছবির ভিলেনের মতো বাতাস,
কালিদহের দিকে মিলেমিশে চলেছে বাঁধভাঙ্গা আবেগ।

কঠিনে বুকবেঁধে পাহাড়টার-
মনে হতো বারবার, মেঘ তাকে ভিজিয়ে দিক।
আর একবার খুব করে নরম বুক পেতে দিক।
বারবার মনে হতো মেঘ তাকে ভাসিয়ে নিক।

তারও অনেকদিন পরে,
যেবার কাঁপলো পাহাড় ভীষণ জ্বরে।
তার ঠিক দু'মুহূর্ত পরের ঝড়ে-
ভোররাতের এক উত্তুরে বাতাসের তুড়ে,
রঙবদলের ছলে, সেইযে গেলো মেঘরাণী উড়ে।
এখনো ঠাঁই দাড়িয়ে পাহাড়, খায় জলজ আহার
যদি আবার কোনদিন তার মেঘপরী বৃষ্টি হয়ে ফিরে।

আমরা জানি- পাহাড়ের বুকে অনেক মেঘের পদছাঁপ।
সময় সাক্ষী- মেঘেরও আছে ছলাকলা, জলজ মনস্তাপ।

কালের লিখন

২টি মন্তব্য: