সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

কালান্তরের কল্প ।। কালের লিখন

গতকাল যার শেষকৃত্য ছিল- সে আমি। আগামীকাল যে মরবে, সেও আমি। শুধু আজকে যে মরে গেলো, ছিল সেই ভীষণ দামী। আজকের ফুল এবং ফল, মানুষ এবং কল, যাবতীয় শক্তি এবং বল, গতকালের স্মৃতি। আগামি ভেবেই দিশেহারা পুরনো প্রকৃতি। আমি অসংখ্যবার মরে গিয়েও জীবনের মালা গাঁথি। আগামি-গতের প্রাত্যহিক ক্ষতই আজ আমার সাথী। আমি নিঃশ্বাসে বিশ্বাস ধারণ করে, প্রতিমুহূর্তে বেঁচে থাকি, মৃত্যুর কিনার ধরে।
আমি বেঁচে থাকি মরে যাই- অন্তহীন সেই জ্বালা। বেঁচে থেকো সোনার বাংলা, রবীন্দ্রনাথ, আমার যাবার পালা। কিছু ফুলে সত্যি বলছি- হয় না কোন মালা। কিছু ফুল সাজায় শুধু অকাল মরণডালা। আমি ফুলের ভুলে নিমজ্জিত হয়ে, মৃতপ্রায় এক দেশ, ধারণ করি হৃদয়ে। জন্ম এবং মৃত্যুর মাঝে তুলে দেয়াল- আজো রাত্রি হলেই আঁধার মাপি মনের খেয়াল।

শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

রক্তেভাসা মাতৃভাষা ।। কালের লিখন

প্রতিদিনই দিবস। জানা অজানা বিদঘুটে সব বিষয়। কেউ জানে না, ঠিক কোন দিবস কবে, কখন, উৎপত্তি আর শেষ হয়! হাত ধোয়ার জন্যও দিবস আছে ভাবতেই হাসি পায়। প্রতিটি দিবসই অজানার ভিড়ে নিত্য হারিয়ে যায়। ঘৃণা দিবস, প্রপোজ দিবস, গোলাপ দিবস, প্রলাপ দিবস, আলাপ দিবসও আছে। আঙুল গুণে দুই একটা দিবস স্মরণীয় আমার কাছে। যে দিবসে রাত হতেই বুক হয়ে যায় পরম শ্রদ্ধায় ভারী। যেমন একুশে ফেব্রুয়ারি।
বাংলায় ফাল্গুনের আট, বাঙালির মাতৃভাষার পরম আরাধ্য পাঠ। আগে থেকেই অতিক্রম করেছিল নির্যাতনের চৌকাঠ। এবার এলো মুখের ভাষার উপর- অহেতুক নিষেধাজ্ঞা আর চোখ রাঙানো ফাঁপর। বললো পাকি- উর্দু নাকি মাতৃভাষা হবে। পাগলের প্রলাপ, হয় নাকি তাই? বিপদে বাঙালি ভাই আর ভাই। এক সাথে চিৎকার দিলো- বাংলা ভাষায় কথা বলতে চাই। আর যায় কোথা? বাঙালির বীরত্ব গাঁথা, অন্যায় সংগ্রামে। তাজা রক্ত রাজপথে ঢেলে, মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে, মুখের ভাষা স্বাধীন করলো চিরদিনের তরে। এখন এই দিনটাই বিশ্বব্যাপী সবাই স্মরণ করে। শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে, আমি বাংলায় পড়ি-লিখি। এই ভাষাতেই গান গাই আমি মুক্ত স্বাধীন পাখি।


বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মনের জলে সাঁতার ।। কালের লিখন

ভাতার আমার পিঠে দিইতে আসে, পেটে কিচ্ছু নাই। দুই বেলা খাবার জন্যেই তো দিনরাত খাটনি খেটে যাই। ভাতার আমারে খাতার অংক ভাবে, এক আর একে মিলায় সে এগারো। একে একে যে দুই হওয়া লাগে, এই সইত্য সে ভুইলা যায় আবারও। ভাতার আমারে সাঁতার শিখায় নাই, কোনদিন দেহায় নাই ভাদ্দর মাইসা বৃষ্টির লাহান টলটলা মন। শুধু বছর বছর পেট ভরাইছে, করছে বাচ্চা বিয়ানোর আয়োজন।
আন্ধার রাইতে, এ কাইতে ও কাইতে, রইদ বৃষ্টি ভরা শীতে। নিজের রক্ত খাওয়াইয়া জন্ম দেই এক একটা নতুন মুখ। ভাতারের সাঁতারে মন, বীর্য দিয়াই সূর্য হইয়ে গ্যাছে। জানে না সে কিরাম হাহাকারে ফুল থাইকা ফল হয় গাছে। ভাতার জানে না মনডার তালাশ, ভাতার জানে না বেড়ার সীমানা, আসমানের বুকে কিসের জইন্যে হাহাকার। জানে শুধু সে ভাতের পরিমাপ। ভাতার কোনদিন ঠাহর পায়না কোন কালে কখনডা হইল সে বাপ। আমি নারী, বুকের মইধ্যে পাহাড় ধরি, মেঘের মতোন অবাধ্য সব শিশু পালি। ভাতার আমারে উঠতে বসতে এজইন্যেও পাড়ে গালি। কেন প্যাট থেইক্কা শুধু মুখ বাইর হয়? ক্যান মুখগুলানের লাগে খাবার? প্যাটে কিছু নাই, এখুন সুমায় হইছে যাবার।
যাওনের আগে একবার শুধু চিৎকুর মাইরা কইতে চাই- এই দুনিয়ার কোন নারীই বেবাগ দিয়া সুখে নাই। বস্তিতে থাক, শহরে থাক, দালান কিম্বা গাছতলে। সবখানেই সে যুদ্দু করে, সকাল সইন্ধা খাইট্টা মরে, ধুঁইকে ধুঁইকে ভীষণ ক্লান্ত হয়- চাওয়া শুধু খাওয়া পরা আর মাতার উপরে ছাদ। নিজের মনে চলে নারীর বেদনার আবাদ। যদি ভাতার সাঁতরাইতো একবার মনের জলে, তাইলে- বেবাক নারীর চক্ষের জল যাইত না বিফলে।

স্মৃতির বিষদাঁত ।। কালের লিখন

হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায়, গল্পবুড়ি বসে আছে স্বপ্নের দাওয়ায়। যদিও স্মৃতির পুকুর আজ কচুরিপানায় ভর্তি, বাল্যবেলার দুপুর এখনও ছায়ায় করে ফুর্তি। পুরনো পথের বুকে এখন নতুন পায়ের আঘাত। সবই কেমন বাড়ছে দ্রুত- বাবার হাতে ধরে থাকা ছোট্ট ছোট্ট হাত। গড়িয়ে গ্যাছে ছড়িয়ে গ্যাছে গাছের ডালপালা। স্মৃতির ধুলোয় মিশে আছে বাল্যবেলার খেলা।
আবার হঠাৎ ঘুমিয়ে যাই, জেগে থাকে বহমান দিনরাত। সমান তালে জেগে থাকে অজস্র স্মৃতির মায়াময় বিষদাঁত। জেগে থাকে পুবের সূর্য এখনো রোজ সকালে। শুধু আমার বালকবেলা ঘুমিয়ে গেছে অকালে। মরে গেছে গল্পবুড়ি, ঝরে গেছে গল্পেরা সব। ঘুম-জাগরণে মগ্ন এখন- স্মৃতিময় অনুভব।

মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

কেউ কেউ ।। কালের লিখন

কেউ হাঁটছে, কেউ বসে আছে। কেউ গাড়িতে, কেউ বাড়িতে, কেউ রাস্তায়। কেউ পথের ধারে বসে আছে, ছেঁড়া কোন বস্তায়। কেউ ভীষণ দামী, কেউ বিকিয়ে যাচ্ছে সস্তায়। কেউ রিকশাওয়ালা, কেউ সবজি বিক্রেতা, কেউ নেতা, কেউ দুঃসময়ে বসে সময়ের কর্পোরেট ক্রেতা। কেউ টানে, কেউ গানে, কেউ বনে, কেউ ক্ষণে, কেউ ধনে, জনে জনে ভিন্ন আয়োজন। প্রত্যেকের এক আকারি বিভিন্ন মন। আলাদা বেশভূষা- একই রকম মৌলিক দহন।
কেউ নামে, কেউ প্রেমে, কেউ নগরের রাজপথে। কেউ থামে, কেউ ঘামে, কেউ বৃক্ষ লতার সাথে। কেউ হতাশ, কেউ বাতাস, কেউ কেউ সূর্যের মতো। কেউ ঢেউ তোলে মহাকালে, কেউ অকালে মৃত। কেউ লিখে, কেউ পড়ে, কেউ ধারণ করে, কেউ বারণ করে, কেউ কেউ লব্ধ জ্ঞানটুকু হরণ করে। কেউ মিছে ধাবমান, কারও কারও শুধুই মুখ, নাই কোন কান। যেন ধূলোর পৃথিবী এক বারোয়ারী দোকান। কেউ কিনে, কেউ বেচে, কেউ নাচায়, কেউ নাঁচে। প্রত্যেকেই মরে যায়- কেউ কেউ কর্মগুণে বাঁচে।
ফেব্রুয়ারি- ২০১৬

রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

কিশোরী নৌকা ।। কালের লিখন

সেদিন মাঝরাতের অন্ধকারে ধবধবে সাদা এক বিড়ালের সাথে দেখা হলো। মিউমিউ করে সে তার প্রাক্তন মুনিবের গল্প করলো। রোদের দিকে পিঠ আর জোসনার দিকে বুক পেতে, সেই মানুষটি নাকি দীর্ঘদিন ঠাঁয় বসে ছিলো- অরণ্যঘেরা এক অতিনির্জন দ্বীপে। সকালের প্রথম আলোয় কচি গাছের পাতার দিকে চেয়ে চেয়েই মিটেছে তার সঙ্গতৃষ্ণা। বিকেল বেলার অগোছালো মেঘমল্লার, দিয়েছে জাগতিক খুনসুটি থেকে মোহমুক্তি। প্রত্যহ আলো আর অন্ধকারের দ্যোতনায় মগ্ন ছিল তার অদম্য প্রানশক্তি। মিউ মিউ বিড়াল বললো আরও- ফুলের সুবাস করেছে তাকে স্নায়বিক ভাবে দৃঢ়। ফলের সার- করেছে ভালোবেসে খাদ্যের জোগাড়। মুহূর্তে মুহূর্তে তার আঙুল হয়ে যেতো লাঙল, জমিনে চাষ হতো শব্দের বীজ। টানা ৭ মাসের প্রকৃতি রমণ শেষে, লোকালয়ে ফিরত সে সামাজিক অভ্যাসে। লোকটি মরণজয়ী চারণ কবি। শব্দ দিয়ে আঁকত স্মরণকালের ছবি।
টানতে টানতে বিড়ালটা নিয়ে গেলো রাস্তার ধারে। চারপাশে ফিতা টানা, একটা বেশ বড় ছবি। নিচে ছোট করে লেখা- '২১ ফেব্রুয়ারি গাড়ি এক্সিডেন্টে এখানেই মরে গেছে কবি।' কথা বলা বিড়ালের জন্য মায়া হলো না, মুহূর্তে সেই অরণ্যঘেরা নির্জন দ্বীপের জন্য কষ্ট হল। এই নগরসভ্যতা জানে না কবির মূল্য। জানে- রবীন্দ্রনাথকে বহন করা পদ্মার বুকের কিশোরী নৌকা।

শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মাকে মনে পড়ে ।। কালের লিখন

মাকে মনে পড়ে। একখানা মুখ দুইখানা চোখ তার- এমন সুশ্রী চোখ-মুখ দেখিনাই কারও আর, যখন একা হাঁপিয়ে উঠি যাপিত জীবন ভারে। অন্ধকারে গাছের পাতা ব্যথার মতো নড়ে- তখন আমার ভীষণ রকম মাকে মনে পড়ে।
ঘাম ভেজা মুখ উনুনের আঁচ লেগে- ক্লান্তিহীন আছে মায়ে দিবারাত্র জেগে। চোখের কোণে আলোর ঝিলিক খেলে- কোথায় গেলো হঠাৎ- মা আমাকে ফেলে? মনের মাঝে অবোধ আদর একাই নড়েচড়ে- একলা হলেই মায়ের মুখটা ভীষণ মনে পড়ে।
তখন সবে বুঝতে শিখেছি আলো আর আঁধার, সবকিছুতেই জবাব খুঁজি জাগতিক ধাঁধাঁর। সন্ধে হলেই মায়ের আঁচল ঘেঁষে- গল্প শোনার বায়না হত রাজপুত্রের বেশে।ছিলো ডালিমকুমার ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমী- মা বলত - ঘুমাও বাবা জেগে আছি আমি।
জেগে দেখি খাঁখাঁ রোদে পুড়ে, কাছের জমিন যাচ্ছে ক্রমেই দূরে, একটা তারা হঠাৎ গেছে স্বস্থানে ফিরে- ততক্ষণে অকাল ঝড়ে শৈশব গেছে মরে। লেগে গেছে অনাথ আখ্যা, করুণা মাখা হাত পড়ছে পিঠের পরে। চেনাদৃশ্য অচেনা ভীষণ, কাছের মানুষ যোজন দূরে। দিন তো যায়ই রাত এলেই মাকে ভীষণ মনে পড়ে।
মাকে মনে পড়ে। কেঁপে উঠতো মা আমার একটু অনাদরে। চুমুর পরে চুমু দিতো লালচে ঠোঁটের পরে। ব্যথা পেলে চেপে ধরে নরম বুকে, আকুল হতো ভীষণ রকম পুত্রশোকে। নয়ন তারায় ভালোবাসার কাজল মেখে, ফুঁ মন্তর দিয়ে দিতো অবোধ সুখে। রাতের সাথে মিলেমিশে মায়ের গায়ের ঘ্রাণ- ঘুমের ওমে তলিয়ে যেতাম- স্মৃতিতে অম্লান।
এখনো আমার ঘুম না এলেই, একটু মন কেমন হলেই, ছলছলায় দুটি চোখের পাতা। স্বযতনে খুলে বসি মাতৃস্নেহের খাতা। পাতায় পাতায় মুখচ্ছবি পৃষ্ঠা উল্টে যাই- নানা রকম অনুভবে মাকেই ফিরে পাই। গর্ভের দায় খর্ব করার পথ নেই ভবপারে। নাড়ির টান, জীবনের গান মায়ের স্মৃতি ধরে। যখন একা হাঁপিয়ে উঠি যাপিত জীবন ভারে। অন্ধকারে গাছের পাতা ব্যথার মতো নড়ে- তখন আমার ভীষণ রকম মাকে মনে পড়ে।

ফেব্রুয়ারি- ২০১৬

শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মেয়েটা ।। কালের লিখন

মেয়েটা বোকাসোকা, থাকে প্রায় একা একা;
নিজের সাথে তার হয় না খুব বেশি দেখা।
কতজন ফাঁকেফুকে প্রশংসার জাল বুনে-
প্রত্যাশায় সাধন নেই- মগ্ন সবে বিনোদনে।

মেয়েটা বোকাসোকা, সন্তাপে মধুমাখা;
চারপাশে ঘুরে তার সাদামাটা মেঘছটা।
যদিও আকাশে তার আসে প্রায়ই ঘনঘটা-
কোথাও লাগেনা রেশ, বাস্তবে ছিটেফুটা।

মেয়েটা বোকাসোকা, অভ্যাস একা থাকা;
চলে মনে মনে একাকী নিজস্ব ছবি আঁকা।
কেউ কেউ আসে সেই ছবিতে রঙ দিতে-
মেয়েটা বুঝে ফেলে চারপাশে ভুল মিতে।

মেয়েটা বোকাসোকা, জানে না দিতে ধোঁকা;
সবাই তাই ছলনায়, করে যায় মন ফাঁকা।
সাতে পাঁচে না থাকা সেই মেয়েটাই আজ-
করে বুদ্ধির ত্রিসীমায় চৌমাত্রিক কারুকাজ।

ফেব্রুয়ারি- ২০১৬

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

পা হারানোর গল্প ।। কালের লিখন


আজ সারাদিন অনেক রোদ্দুর ছিল-
ছিল না দৃশ্যমান কোন আকাশরেখা।
ক্যালেন্ডার বলল আজ তো সোমবার-
পা দুটো ঠেলা দিল, সময় হাঁটবার।
আজ সারাদিন শুধু হেঁটেছি ক্রমশ-
সমস্ত নদী হয়েছিল প্রশস্ত রাস্তা,
সমুদ্রের বুকে ছিল দৌড় প্রতিযোগিতা-
আজ খোশগল্পে মগ্ন ছিল কবর-চিতা।

আজ পৃথিবীর সবগুলো তাজা বনে
ছিল, গাছেদের খণ্ডকালীন ভ্রমণ।
পায়ে পা মিলিয়ে বৃক্ষ ভুলেছে শেকড়-
উল্লাসে মেতে ছিল তুচ্ছ পোকামাকড়।

সারাদিন দৌড় শেষে ফিরতি পথে-
চেয়ে দেখি পা'দুটি নেই আর সাথে।

আকুতি ।। কালের লিখন

শুধু তুমি এসো, আর কিছু চাইনা, দরকারি মেইল জমে থাক আনরিড, ভুলে ফেলে এসো চুলের কাঁটা, তুমি এসো দ্রুত, চলছে জোয়ার ভাঁটা। বুকের মধ্যিখানে ভীষণ হুলস্থূল, দূরে বসে কাঁদছে ছুঁড়ে ফেলা খুচরো ভুল। আস্ত কিছু আশার শব, এখনো আছে তুমি এসো, যেভাবে রাত আসে দিনের কাছে। যেভাবে দু'চোখের পাতা নেমে আসে- তুমিও এসো ঠিক সেভাবেই ভালোবেসে। আমাদের ভ্রমণ হোক একাত্মতার অভ্যাসে। ফেব্রুয়ারি- ২০১৬