শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

মৌ মগ্নতা

তুমি ছায়ার সাথে সখ্যতা করতে করতে
আলোর বিপরীতে দাঁড়িয়েছ বারবার।
আমি আলোর প্রেমে মগ্ন হয়ে অসংখ্যবার-
শুধু তোমাকেই দেখেছি হে ছায়াবৃত্তের শরীর।
আমার দৃষ্টিতে ছড়ানো ছিলো তুমিময় ভিড়। 

আমি তোমাকে দেখেছি সকালের প্রথম রোদে,
মিলেমিশে ছিলে তুমি, তপ্ত দুপুরের বোধে।
বিকেলের আকাল ভুলে সন্ধ্যের আঁধার এলে-
আমি তোমাতেই ফিরে গেছি, অন্ধকারে পথ ভুলে।
তুমি সাদৃশ্য খুঁজেছ শুধু রাত আর কালোচুলে।

দিন প্রকাশ্য, একথা সবাই জানে, শুধু রাত-
এক গোপন আততায়ী, অন্ধকারে অচেনা নিজের হাত।
আলো ছাড়া মুহূর্তে অচেনা লাগে চিরচেনা ভুমণ্ডল,
আমি তোমাকেই চিনতে চেয়েছি, আঁধার আয়তনে।
তুমি অলীক কথার মালা গেঁথেছ, যান্ত্রিক যতনে।

রাতের পাঠ অসমাপ্ত রেখেই, বহুদিন পৃথিবীতে
উঠে গেছে সকালের সূর্য। অনেক স্বপ্নই হঠাৎ
ভেঙ্গে গেছে রোদের আঁচে। দিনের মানুষ পুতুল নাচে।
প্রখর সূর্যালোকে সং সেজে, নিজের পরোক্ষ অস্তিত্ব যাচে।
তুমি তখনো প্রশ্ন করো- তবে মানুষ কেন বাঁচে? 

মানুষ কেন বাঁচে? এই প্রশ্ন মাথায় নিয়ে দিব্যি বেঁচে আছে
পৃথিবীর সমস্ত জীবিত মানুষ। মৃত মানুষ বুঝে নিয়েছে
জমিনে তার যতটুকু অধিকার। শুধু তুমি আমি-
পৃথিবীর প্রথম জুটির মতো ত্রুটি নিয়ে বেঁচে আছি-
শুনেছি- মধুর মিষ্টতার খবর রাখেনা মৌমাছি।

কালের লিখন​
নভেম্বর- ২০১৫

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন