শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

নামাঙ্কন

তুমি যেমন হাসতে পারো-
কাঁদতে পারো জনমভর।
আমিও সেই নিজেতে নেই
অন্য কোথাও ভয় ও ডর।

ভাবছ তুমি পাগল আমি?
নিজের মতো থেমেই আছি।
অস্থির চিত্ত ভ্রমণে নিত্য-
বাঁচবো বলে নাচন নাচি।

আকাশ দেখি খুলিয়া আঁখি,
জমিনে দেই দুই'পা ফেলে।
মনেতে ভাবি ভাব অভাবী
কি করতাম তোমায় পেলে।

ছোট্ট বেলার খুচরো গল্প,
অল্প খানিক, কল্প কাহন।
তোমায় ঠিক কি শুনাতাম
সময় নায়ে-স্থির বাহন।

চাঁদের কথা অলীক ব্যথা
ছোট বিশ্বাস বড় ব্যাপার।
তোমার সাথে শেয়ার হতো-
পুরনো মন, র‍্যাপিং পেপার।

ভাগের রুটি, আগের জুটি
প্রাচীন কিছু মরা অভ্যাস।
অভিন্ন গোল মুগ্ধ ভূগোল,
মিলে মিশেই ভিন্নতা বাস।

এক দৃশ্যের অজস্র রুপ,
ভিন্ন সকল চোখের মাপ।
তোমায় নিয়ে পরিধি দিয়ে
মেপে নিতাম সে মনস্তাপ।

মেপে নিতাম কান্না হাসির
পরিমাপ সে, ঠিক কতটা।
খুঁচিয়ে তুলে মধুর ভুলে-
জ্বলতে থাকে, কোন ক্ষতটা।

যেই ক্ষততে ঘা নেই কোন
যায়না চোখে কিছুই দেখা।
সাদা পৃষ্ঠায় কালো অক্ষর
তোমার আমার নাম লেখা।

কালের লিখন​
ডিসেম্বর- ২০১৫

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন