শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৬

আশ্রয়

তরল জল যেভাবে ফ্রিজিং হয়- জমতে জমতে জমাটবরফ। সেভাবে নিতান্তই জমে যাবার মতো করে, ধীরে ধীরে ভারি হয়েছে তোমার ব্যক্তিগত দুঃখের সাতকাহন। আকাশকে বললে- নিবে কিছু? আকাশ মেঘের আড়ালে মুখ লুকালো। চেনা আকাশের অচেনা প্রপঞ্চনা বুকে ধারণ করে- মগ্নমনে লগ্নভুলে, উদাস বিকেলে হেঁটে হেঁটে হাজির হলে, অভিমানী এক নদীর কাছে। বললে- হে শান্ত নদী নিবে কিছু অশান্ত দুঃখ আমার? নদীর শুকিয়ে যাওয়া জলও কেমন অশ্রুর মতো ছলছল করে উঠলো হঠাৎ। জলদায়ী নদীর একান্ত বিষাদ সাথে নিয়ে ভাবলে এবার সমুদ্রে যাই তবে- বিশাল সমুদ্রের ফেনিল জলে ফেলে আসি আমার দুঃখের ভার, কোন এক মরা সন্ধ্যায়, লোনা জলের প্রাচুর্য জিভে ছুঁয়ে তুমি আবিস্কার করলে- বারোয়ারী মানুষের দুঃখ আর চোখের জলে সমুদ্র ভারাক্রান্ত। ভাবতে ভাবতে অসীম মহাশূন্যে তাকালে, সহসা কাঁধে কারও হাতের স্পর্শ- কেউ একজন বললো- নাও কবিতা পড়ো। তুমি নাম না জানা সেই কবির কাব্য পড়তে পড়তে ভাবলে- নাহ! আমার সমস্ত দুঃখ এই কবিকেই দিতে হবে। ততক্ষণে প্রতিটি শব্দ তোমাকে ধারণা দিয়েছে- জগতের সমস্ত দুঃখ বুকে ধারণ করেই একজন কবির জন্ম হয়। হঠাৎ উত্তুরে বাতাসটা দক্ষিণে ধাবমান- একটা সাদা পৃষ্ঠা উল্টে যেতেই সমস্ত অক্ষর কালো হতে হতে এক একটা মার্বেল চোখ। যেন- তোমার সমস্ত দুঃখবোধ মিলেমিশে একটা কবিতা হয়ে গেছে। কালের লিখন​ জানুয়ারি- ২০১৬

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন