তরল জল যেভাবে ফ্রিজিং হয়-
জমতে জমতে জমাটবরফ। সেভাবে
নিতান্তই জমে যাবার মতো করে,
ধীরে ধীরে ভারি হয়েছে তোমার
ব্যক্তিগত দুঃখের সাতকাহন।
আকাশকে বললে- নিবে কিছু?
আকাশ মেঘের আড়ালে মুখ লুকালো।
চেনা আকাশের অচেনা প্রপঞ্চনা
বুকে ধারণ করে- মগ্নমনে লগ্নভুলে,
উদাস বিকেলে হেঁটে হেঁটে হাজির হলে,
অভিমানী এক নদীর কাছে। বললে-
হে শান্ত নদী নিবে কিছু অশান্ত দুঃখ আমার?
নদীর শুকিয়ে যাওয়া জলও কেমন
অশ্রুর মতো ছলছল করে উঠলো হঠাৎ।
জলদায়ী নদীর একান্ত বিষাদ সাথে নিয়ে
ভাবলে এবার সমুদ্রে যাই তবে-
বিশাল সমুদ্রের ফেনিল জলে
ফেলে আসি আমার দুঃখের ভার,
কোন এক মরা সন্ধ্যায়,
লোনা জলের প্রাচুর্য জিভে ছুঁয়ে
তুমি আবিস্কার করলে- বারোয়ারী মানুষের
দুঃখ আর চোখের জলে সমুদ্র ভারাক্রান্ত।
ভাবতে ভাবতে অসীম মহাশূন্যে তাকালে,
সহসা কাঁধে কারও হাতের স্পর্শ-
কেউ একজন বললো- নাও কবিতা পড়ো।
তুমি নাম না জানা সেই কবির কাব্য
পড়তে পড়তে ভাবলে- নাহ! আমার
সমস্ত দুঃখ এই কবিকেই দিতে হবে।
ততক্ষণে প্রতিটি শব্দ তোমাকে ধারণা
দিয়েছে- জগতের সমস্ত দুঃখ
বুকে ধারণ করেই একজন কবির জন্ম হয়।
হঠাৎ উত্তুরে বাতাসটা দক্ষিণে ধাবমান-
একটা সাদা পৃষ্ঠা উল্টে যেতেই
সমস্ত অক্ষর কালো হতে হতে
এক একটা মার্বেল চোখ। যেন-
তোমার সমস্ত দুঃখবোধ মিলেমিশে
একটা কবিতা হয়ে গেছে।
কালের লিখন
জানুয়ারি- ২০১৬
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন