শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

বর্ণীল বিবর্ণতা

চোখের কোণে বিষাদ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটা লাল গোলাপ। একটা কালো বিড়াল অযথাই গড়াগড়ি খাচ্ছে সূর্যের আলোতে। একটা সাদা পৃষ্ঠা উড়াউড়ি করছে বিস্তীর্ণ আকাশ বক্ষে। বৃষ্টির মতো টুপটাপ ঝরে পড়ছে অজস্র হলুদ পাতা। চারপাশে শুধুই রঙ, আমার মনে পড়ছে বর্ণীল তোমার কথা।

আমার মনে পড়ছে কালার ব্লাইন্ড শৈশব, বর্ণহীন সকল অনুভব। সজনে গাছের শরীর বেয়ে বৃষ্টিস্নাত জলের ধারা। একটা মানুষ নাম জানিনে, ভিজে চুপসে পাগলপারা। তুলোর মতো বিকেলগুলো, পায়ে জড়ানো সন্ধ্যে ধূলো, সন্দেশদুপুর রোদের আঁচে এলোমেলো। আজকে আবার ভীষণরকম মনে হলো।

মনে হলো তোমার কথা, আমার কথা, বর্ণ এবং রঙের কথা। মনে হলো অজস্র সুখের মাঝেও থাকে কিছু তুমুল ব্যথা। থাকে কিছু গভীর কথা অগভীর এই জীবন পটে। স্মৃতি নামের একটা ইঁদুর ভীষণরকম জাবর কাটে। তোমাকে পাই, আমাকে পাই, রঙগুলোই সব ঝাপসা কেবল অলীক চোটে।

এত বর্ণ এতএত রঙ, আমার তবুও বিবর্ণ এই সময় কাটে।

কালের লিখন​
নভেম্বর- ২০১৫

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন