শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

স্বতন্ত্র পঞ্চবিন্যাস

আকাশকে একটা ব্যক্তিগত ডায়রি ভেবে-
বহুকাল বলে গেছি নিজের বারোয়ারী কথা।
যেদিন আর বলার মতো কোন কথা নেই,
সেদিন আবিস্কার করলাম- আমার একান্ত
আকাশটা ঠিক আমার নয়, সে অনেকের।

শৈশবে যে কবিতা গোপনে আত্মস্থ করেছি-
ভেবেছি আর কেউ পায়নি এর পাঠতৃপ্তি।
বড় হতে হতে, জীবনের পথে পথে ঘুরে
একদিন আবিস্কার করলাম- সেই কবিতা
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ বুকে লালন করে।

আমি একটি স্বতন্ত্র আকাশ এবং কবিতা,
একজোড়া নির্মল চোখ আর সন্ধানী পা নিয়ে-
হেমন্তের ধানক্ষেতে দেখেছি পতঙ্গের উচ্ছ্বাস,
বিকেলের লাল আলো আর সোনালি ধান
মিলেমিশে রক্তিম করেছে গোলাকার গ্রহ।

আমি সেই আকাশ আর কবিতাকে নিয়ে
দিনের পর দিন হেঁটেছি বৃক্ষের মহাসভায়।
মানুষের লালিত বিশ্বাস আর পালিত গৃহে
ফিরে আসতে আসতে আমি কান পেতে শুনেছি
ঘরের সমস্ত কাঠের আসবাব শ্লোগান মুখর।

মরা কাঠের আদ্রতা, ঝরা পালকের মতো,
বুকের কার্নিশে ঝুলিয়ে রেখে দেখেছি-
ক্ষুধার সময় মানুষ আর পশুতে প্রভেদ নাই।
তৎক্ষণাৎ আবিস্কার করলাম- আকাশ আর
লালিত কবিতার যোগসুত্র। মূলত অনুভব স্বতন্ত্র।

কালের লিখন​
নভেম্বর- ২০১৫

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন