সেদিন মাঝরাতের অন্ধকারে ধবধবে সাদা এক বিড়ালের সাথে দেখা হলো। মিউমিউ করে সে তার প্রাক্তন মুনিবের গল্প করলো। রোদের দিকে পিঠ আর জোসনার দিকে বুক পেতে, সেই মানুষটি নাকি দীর্ঘদিন ঠাঁয় বসে ছিলো- অরণ্যঘেরা এক অতিনির্জন দ্বীপে। সকালের প্রথম আলোয় কচি গাছের পাতার দিকে চেয়ে চেয়েই মিটেছে তার সঙ্গতৃষ্ণা। বিকেল বেলার অগোছালো মেঘমল্লার, দিয়েছে জাগতিক খুনসুটি থেকে মোহমুক্তি। প্রত্যহ আলো আর অন্ধকারের দ্যোতনায় মগ্ন ছিল তার অদম্য প্রানশক্তি। মিউ মিউ বিড়াল বললো আরও- ফুলের সুবাস করেছে তাকে স্নায়বিক ভাবে দৃঢ়। ফলের সার- করেছে ভালোবেসে খাদ্যের জোগাড়। মুহূর্তে মুহূর্তে তার আঙুল হয়ে যেতো লাঙল, জমিনে চাষ হতো শব্দের বীজ। টানা ৭ মাসের প্রকৃতি রমণ শেষে, লোকালয়ে ফিরত সে সামাজিক অভ্যাসে। লোকটি মরণজয়ী চারণ কবি। শব্দ দিয়ে আঁকত স্মরণকালের ছবি।
টানতে টানতে বিড়ালটা নিয়ে গেলো রাস্তার ধারে। চারপাশে ফিতা টানা, একটা বেশ বড় ছবি। নিচে ছোট করে লেখা- '২১ ফেব্রুয়ারি গাড়ি এক্সিডেন্টে এখানেই মরে গেছে কবি।' কথা বলা বিড়ালের জন্য মায়া হলো না, মুহূর্তে সেই অরণ্যঘেরা নির্জন দ্বীপের জন্য কষ্ট হল। এই নগরসভ্যতা জানে না কবির মূল্য। জানে- রবীন্দ্রনাথকে বহন করা পদ্মার বুকের কিশোরী নৌকা।
টানতে টানতে বিড়ালটা নিয়ে গেলো রাস্তার ধারে। চারপাশে ফিতা টানা, একটা বেশ বড় ছবি। নিচে ছোট করে লেখা- '২১ ফেব্রুয়ারি গাড়ি এক্সিডেন্টে এখানেই মরে গেছে কবি।' কথা বলা বিড়ালের জন্য মায়া হলো না, মুহূর্তে সেই অরণ্যঘেরা নির্জন দ্বীপের জন্য কষ্ট হল। এই নগরসভ্যতা জানে না কবির মূল্য। জানে- রবীন্দ্রনাথকে বহন করা পদ্মার বুকের কিশোরী নৌকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন